Bangladesh DPO Coalition has 19 Executive Committee members, 9 Divisional Coordinators, and 64 general members. The total community of persons with disabilities in Bangladesh is estimated at around 1.5 crore (15 million), which represents approximately 15% of the country’s population

BDC Since 1991

বাংলাদেশে ডিপিও কোয়ালিশন

দক্ষতা উন্নয়ন, নেতৃত্ব বিকাশ ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী কমিউনিটির ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশে ডিপিও কোয়ালিশন একতাবদ্ধ শক্তি হিসেবে কাজ করছে, যাতে প্রতিটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি স্বাবলম্বী ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপন করতে পারে।

জ্ঞান, শিক্ষা, দক্ষতা ও প্রযুক্তি—সক্ষমতার শক্তি

Home

About


বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে পিছিয়ে রেখে একটি সমৃদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তাই তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, আত্মনির্ভরশীলতা নিশ্চিত করা এবং মর্যাদাপূর্ণ জীবন গড়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হলো জ্ঞান, শিক্ষা, দক্ষতা ও প্রযুক্তি। এই চারটি উপাদানকে একত্রিত করে যদি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবনে প্রয়োগ করা যায়, তবে তারা শুধু ভোক্তা নয়, বরং দেশের উন্নয়নের সক্রিয় অংশীদার হিসেবে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

জ্ঞান ও শিক্ষার গুরুত্ব

শিক্ষা হলো মানুষের মৌলিক অধিকার। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এটি শুধু একটি সুযোগ নয়, বরং জীবনের মান উন্নয়নের প্রধান উপায়। প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত তাদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা জরুরি। অনেক সময় শারীরিক সীমাবদ্ধতা ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি তাদের শিক্ষার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই অনলাইন শিক্ষার সুযোগ, প্রবেশগম্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সহায়ক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

দক্ষতা উন্নয়ন—আত্মনির্ভরতার মূল চাবিকাঠি

শিক্ষার পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়ন হলো কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের ভিত্তি। তথ্যপ্রযুক্তি, হস্তশিল্প, অনলাইন কাজ, উদ্যোক্তা উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে প্রশিক্ষণের সুযোগ দিলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা কর্মজীবনে আত্মনির্ভরশীল হতে পারবেন। দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে তারা শুধু নিজের জন্য নয়, সমাজের জন্যও অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।

প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ততা—সমতার জন্য অপরিহার্য

বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তি হলো সমতার মূল হাতিয়ার। প্রযুক্তি ও সহায়ক ডিভাইসের মাধ্যমে শারীরিক সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করা সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ, স্ক্রিন রিডার, ইশারা ভাষার ভিডিও কনটেন্ট, অডিও বই, এবং অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত করা অত্যন্ত জরুরি।

অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে সম্মিলিত উদ্যোগ

শিক্ষা, দক্ষতা ও প্রযুক্তি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত উদ্যোগে অর্জন সম্ভব নয়; এজন্য সরকারি-বেসরকারি সমন্বয় প্রয়োজন। সিআরপিডি বাস্তবায়ন, সিএসআর ফান্ড ব্যবহার, বিশেষ শিক্ষা সুবিধা, এবং কর্মসংস্থানের বাধ্যতামূলক নীতি প্রণয়ন এই প্রক্রিয়াকে গতিশীল করবে।

উপসংহার

জ্ঞান, শিক্ষা, দক্ষতা ও প্রযুক্তি হলো প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের মূল চালিকা শক্তি। এই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়সঙ্গত সমাজে পরিণত করা সম্ভব।

Scroll to Top